এসইও কী-ওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার

কী-ওয়ার্ড কী? কী-ওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার ও বাছাইকরণ ও বিশ্লেষন।
আজ আমরা কী-ওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে আলোচনা করবো। কী-ওয়ার্ড রিসার্চ কি , কেন কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করবেন, কিভাবে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করবেন, কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস, কী-ওয়ার্ড রিলিভেন্স, লং টেইল কীওয়ার্ড কি কেন কিভাবে, কম্পিটিটর এন্যালাইসিস পদ্ধতি, সার্চ রেজাল্ট এর CTR রেট, Keyword ROI কি এবং কিভাবে নির্ধারণ করবেন ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, আশা করছি যারা নতুন এবং যারা এডভান্স কী-ওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তর গুলো খুজে পাবেন। 

প্রথমেই কী-ওয়ার্ড কি

সার্চইন্জিন অপটিমাইজেশনে কী-ওয়ার্ড একটা গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়।মূলত কী-ওয়ার্ডকে দুই ভাবে বলা যেতে পারে।১ম টি হচ্ছে যে সকল শব্দসমষ্টিকে কী-ওয়ার্ড বলে নিয়ে আপনি আপনার ওয়েব সাইটটি গঠন করেন তাকে আর ২য় টি হচ্ছে যে সকল মূলশব্দকে আপনি SEO করার জন্য বাছাই করেছেন তাকে কী-ওয়ার্ড।তবে আমার মত ২য় টাই SEO এর জন্য যথার্থ।কেননা SEO এর ভাষায় কী-ওয়ার্ড হল যে শব্দকে নিয়ে আপনি কাজ করবেন।


একটা উদাহারণ দেয়া যাক।যেমন আপনার একটা মুভি ডাউনলোডের সাইট আছে।সেক্ষেত্রে আপনার সাইটের কী-ওয়াড Download movie,Free download movie,movie watch and download এমন হওয়াই স্বভাবিক।আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করার জন্য সার্চ বক্সে লিখি তখন সার্চ ইন্জিন সে শব্দের উপর ভিত্তি করেই ফলাফল প্রকাশ করে।আর আপনার প্রদত্ত শব্দটাই হয় কী-ওয়ার্ড।যেমন আপনি “bangladesh newspaper” লিখে সার্চ করলেন।এখানে

“bangladesh newspaper” হল আপনার সার্চ কী-ওয়ার্ড।এতে সার্চ ইন্জিন আপনাকে অনেক গুলো সাইটের ফলাফল দেখাবে ।এই ফলাফল দেখানোর মানে হল সার্চ ইন্জিন আপনার প্রদত্ত সার্চ কী-ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে আপনাকে ফলাফল দেখাচ্ছে।এই ফলাফলের তালিকাই যেসকল সাইট আছে তারা সবাই bangladesh newspaper কী-ওয়ার্ড নিয়ে সাইটটি বানিয়েছে।তাহলে বুঝাই যায় যে কী-ওয়ার্ড সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে ব্যবহার করবেন কী-ওয়ার্ড

কী-ওয়ার্ডসম্পর্কে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছি।এখন দেখা যাক কিভাবে এই কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।কী-ওয়ার্ড আপনি ২ ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।যেমন

মেটা ট্যাগের মাধ্যমে

সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেল এর মাধ্যমে।

আসুন নিচে থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

১. মেটা ট্যাগের মাধ্যমে

ওয়েব সাইট ডিজাইনের সময় আমরা অনেক ধরনের মেটা ট্যাগ নিয়ে কাজ করি। এর মধ্যে

< meta name=”keywords” content=”some keyword,another keyword” />

এইট্যাগটি “মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ” নামে পরিচিত।এই মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ দ্বারা আপনি আপনার সাইটের কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের কাজ করতে পারবেন।এ জন্য আপনি আপনার সাইটের HTML এডিটর পেজে গিয়ে ও ট্যাগ এর মধ্যে আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি বসিয়ে দিন। নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -

ব্যাস হয়ে গেল আপনার সাইটে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করা।আরো অনেক মেটা ট্যাগ আমরা সাইটে ব্যবহার করে থাকি ।এসব ট্যাগের ব্যবহার জানতে এই টিউনটিআপনারা দেখতে পারেন।তবে মেটা ট্যাগ ও কী-ওয়ার্ড এর ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম বা টিপস মেনে চলা উচিত।ড়তে করে আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন।যেমন:

আপনর সাইটের যে কী-ওয়ার্ডটির উপর ভিত্তি করে বানাবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে ৩ বারের বেশি না থাকে।

আপনার সাইটে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করুন সর্বোচ্চ ১ বার।

মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে একটি কী-ওয়ার্ড বার বার না লিখে অন্য ভাবে তা লেখার চেষ্টা করুন,যেমন প্রথমে যদি লেখেন Download hindi movie, hindi movie তা হলে সেটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে download hindi movie বা আরএকটু পরিবর্তন করে download hindi movie online, hindi movie download করে নিতে পারেন।

কী-ওয়ার্ড এর বানান যেন কোনমতেই ভুল না যায় সেদিকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে।যেমন বুশ লাদেন কে নজরদাড়িতে রেখেছিল

প্রতিটি কী-ওয়ার্ডের পর একটি করে কমা(,) ব্যবহার করুন এবং এর পর একটা স্পেস দিয়ে পরবর্তী কী-ওয়ার্ড দিবেন।

তারপরআপনি আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড গুলো অন্যান ট্যাগে ব্যবহার করুন।যেসকল ট্যাগে আপনি আপনার কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো হলো:

Description- Meta Tag

Titel – Meta Tag

ALT- Meta Tag

২.সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেলের মাধ্যমে

আমরাঅনেক মনে করি যে সার্চ ইন্জিন গুলো কেবল মেটা ট্যাগ নিয়ে সাইট ইনডেক্স করে।অনেক আবার এ ও মনে করেন যে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার না করলে হয়তো সাইট ইনডেক্স হবে না,ভালো ফল পাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।তাই তাদের জন্য বলছি মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগটি সার্চ ইন্জিনের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু তা মানে এই নয় যে সাইট ইনডেক্স হবে না কিংবা সাইট ইনডেক্স হলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে না।মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগটি সার্চ ইন্জিনের ক্রাউলিং করার কাজকে অনেক সহজ করে দেয়।যেমন আপনি যদি একটি বই পড়ার সময় বইয়ের সূচিপত্র দেখে কোন তথ্য খোজ করেন তা সহজেই আপনি খুজে পাবেন।আর মেটা কী-ওয়ার্ডটি আপনার সাইটের সূচিপত্রের মত কাজ করে।যেটা থাকলে সার্চ ইন্জিন গুলোর কাজ করতে সুবিধা হয়।তো আসল কথায় আসি,


আপনি যখন আপনার সাইটের কোন কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনি যে সকল শব্দ ব্যবহার করবেন তাই হল কী-ওয়ার্ড।তাই আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখুন।এটাই আপনার প্রথম কাজ।তাছাড়া অন্যান টিপস গুলো হলো….

প্রথমে আপনি আপানর বাছাই করা কী-ওয়ার্ড গুলোর একটা খসড়া তালিকা তৈরী করুন।এই খসড়া তালিকায় কী-ওয়ার্ড গুলো আপনার পছন্দ আনুসারে সাজান।

আপনার বিষয় বস্তুর সাথে কোন কী-ওয়ার্ডটি বেশি মানায় সেটা নির্বাচন করুন।

আপনি আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখার সময় কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের উপর জোর দিন।

আপনি আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি আপনার লেখা কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রথম ২০০টি শব্দের মধ্যে রাখুন।এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে করে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে অনেক ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।

শুধু মাত্র ১ টি কী-ওয়ার্ড নিয়ে পড়ে থাকবেন না।একই ধরণের কী-ওয়ার্ড গুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

গুগল সহ অন্যান সার্চ ইন্জিন কিন্তু কনটেন্ট বা আর্টিকেলে দেয়া কী-ওয়ার্ড গুলোর দিকে বেশি নজর দেয়,যা মেটা ট্যাগের চেয়ে অনেক গুন বেশিকিভাবে? আসুন দেখে নিই

মনে করুন আপনি গুগল সার্চ ইন্জিনে গিয়ে সার্চ করলেন “download indian movie” লিখে।এর পর যে সাইট গুলো আসবে তার পাশে লেখা “Cached” এ ক্লিক করুন। নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -

তারপর গুগলের Cached করা সাইটের পাতাটি আপনার সামনে হাজির হবে। নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -

সেখানে তারা মার্কিং করে দেখাবে যে সাইটে আপনার দেয়া কী-ওয়ার্ড গুলো কেমন ভাবে তারা ব্যবহার করেছে।

তো বুঝলেন সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেলে আপনি যদি আপনার সার্চ কী-ওয়ার্ড ব্যবহার না করেন তাহলে কেমন ফল আপনি পেতে পারেন।

কেন এই কী-ওয়ার্ড বাছাইকরণ

আপনাদেরমনে প্রশ্ন জাগতে পারে কী-ওয়ার্ড তো হল কিন্তু এ আবার বাছাই করবো কেন।আমরা কোন ভালো জিনিস পেতে যেমন বাছাই করি তেমনি সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে ভালো ফল পেতে সঠিক কী-ওয়ার্ড বাছাইয়ের তুলনা হয় না।


আমরাঅনেক সময় ভলো ফল পাবার জন্য বিভিন্ন হাই-কম্পিটেশন কী-ওয়ার্ড নিয়ে সাইট তৈরী করে থাকি।যেমন Download Software,Download Movie,Song,Music,Tips ইত্যাদি।এসব কী-ওয়ার্ড গুলো হাই ট্রাফিক সম্পূর্ণ।এক বার যদি এসব কী-ওয়ার্ডের ১ম পেজে থাকতে পারেন তাহলে কেল্লা ফতে।ভিজিটর নিয়া নো চিন্তা।কিন্তু এমন সব হাই-কম্পিটেশন কী-ওয়ার্ডে আছে প্রচুর প্রতিযোগীতা।ভালো ভালো ওয়েবমাষ্টাররা ও মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন এসকল কী-ওয়ার্ড নিয়ে। তবে আমরা যেহেতু প্রথম থেকে শুরু করছি তাই এত বড় বড় কী-ওয়ার্ড নিয়ে মাথা ঘামাবো না। তাই আমাদের বের করতে হবে কিভাবে অন্যান কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়। আর এই ভালো ভালো কী-ওয়ার্ড পাওয়ার জন্যই আপনার এই কী-ওয়ার্ড বাছাইকরণ।

চমৎকার সব কী-ওয়ার্ড বাছাইয়ের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন অনেক ভালো ট্রাফিক। আসুন দেখা যাক কিভাবে আমরা কী-ওয়ার্ড বাছাই করবো।

কী-ওয়ার্ডবাছাই এর সময় আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে গবেষনা করতে হবে। এই ট্রামগুলাবিবেচনা করে আপনাকে আপনার সাইট এর জন্য সঠিক কী-ওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। নিম্নে তা সংক্ষেপে আলচনা করেছেন সানি আহমেদঃ

কী-ওয়ার্ড রিলিভেন্স (Keyword relevance)

প্রথমেআপনার বিজনেস/সাইটটি কোন বিষয়বস্তুর উপর তা নির্ধারণ করুন। তারপর ওইবিষয়বস্তুটির Keyword কি সেটা নির্ধারণ করুন। ধরুন আপনার গাড়ীর পার্টস সেলিং (Car parts selling) রিলেটেড। লক্ষ্য করে দেখুন কার (CAR) কিওয়ার্ডটি highest volume keyword । এখন আপনাকে দেখতে হবে কতজন লোক গাড়ীর পার্টস (buy car parts) কিনতে CAR শব্দটি ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রেআপনার কিওয়ার্ড কার (Car) হবে না। আপনার কিওয়ার্ড হবে আপনার সাইটের সাথে আরও Specific সম্পর্কযুক্ত। যেমন: BUY CAR PARTS, GETTING YOUR CAR PARTS। আপনার বিজনেস যদি গাড়ীর জানালা (CAR WINDOWS ) রিলেটেড হয় তাহলে আপনি আরও Specific কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। যেমন: buy car window। তখন আপনি সহজেই আপনার গ্রাহকের নিকট পৌছাতে পারবেন এবং গ্রাহকও আপনাকে সহজে খুজে বের করতে পারবে। আপনি হয়তো ভাবছেন এই কিওয়ার্ডটির Search Volume কম। তাই না? search volume কম হলেও Keyword Relevancy এর কারণে আপনার traffic ratio বাড়বে। তাই সারকথা হলো যতটুকু সম্ভব আপনি আপনার ‍ সাইট/বিজনেস এর সাথে Specific সম্পর্কযুক্ত Keyword নির্বাচন করুন।


অর্থাৎ, আপনি আপনারভিজিটরকে ঠিক কোন বিষয়টির দিকে (অর্থাৎ Keyword) আকৃষ্ট করতে চান কিংবা কোন ভিজিটরদের নিকট আপনি পৌছতে চান যা আপনার ব্যবসা/সাইটের সাথে সম্পর্কিত সেটাই কি-ওয়ার্ড রিলিভেন্সী।


কি-ওয়ার্ড সার্চ ভলিউম (Keyword Search Volume) :

যেপরিমাণ লোক কোনো নিদিষ্ট কিওয়ার্ডে সার্চ দেয় সেটাই ওই Keyword এরSearch Volume । ধরুন ১০,০০০ লোক Education কিওয়ার্ডটি দিয়ে সার্চ দেয়। তাহলে ওই ১০,০০০ লোক হলো উক্ত কিওয়ার্ড এর Search Volume। সার্চ ভলিউমএকটি একক শব্দের হতে পারে কিংবা একটি শব্দগুচ্ছেরও হতে পারে। আবার কোনোনির্দিষ্ট ওয়েবসাইটেরও সার্চ ভলিউম হতে পারে। web analytics Tools দিয়ে এই সার্চ ভলিউম পরিমাপ করা হয়। যেমন: Google Keyword tool, Word tracker ইত্যাদি।


উপযুক্ত Keyword নির্বাচন করা ভালো ভিজিটর এর প্রথম শর্ত। High Search volume এর কিওয়ার্ডগুলোতে বেশি traffic পাওয়া যায়। তাইKeyword নির্বাচন করার সময় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে যেন কিওয়ার্ডটির সার্চ ভলিউম ভালো হয়।

এবার আসুন দেখি সার্চ ভলিউম এর রেজাল্টগুলো নিয়ে।

Search volume এর রেজাল্ট ৩ ধরনের হয়:

Broad

Exact

Phrase

আপনিযখন Google Adwords Keyword Tool ব্যবহার করবেন তখন দেখতে পাবেন Left Sidebar এর ছোট্ট একটি বক্স আছে যাতে তিনটি চেকবক্স দেখা যাচ্ছে।

এটি ব্যবহার করে কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম সম্পর্কে তিন ধরনের তথ্য বের করতে পারবেন।
১. (Broad)- উক্ত কি-ওয়ার্ড দিয়ে সামগ্রিকভাবে সার্চ ভলিউম কত
২. শুধুমাত্র (Exact) আপনার কিওয়ার্ড এর শব্দ/শব্দগুলো দিয়ে কি পরিমাণ সার্চ ভলিউম
৩. এবং Phrase এর সাথে Match করা কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে সার্চ ভলিউম কি পরিমাণ।

প্রতিটিতেচেকবক্স এ টিক চিহ্ন বসিয়ে দেখুন একরকম রেজাল্ট দেখাবে আবার Broad এবংPhrase এর চেকবক্স উঠিয়ে দিলে অন্যরকম রেজাল্ট দেখাচ্ছে। এটি ব্যবহার করে কিওয়ার্ড এর বিভিন্ন Search Volume সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

কি-ওয়ার্ড প্রতিযোগীতা এবং প্রতিযোগী বিশ্লেষণ: (Keyword Competition & Competitor Analysis)-

Keyword Competition কি? কোনো Keyword কে rank এ নিয়ে আসার বাধাগুলোই মূলতKeyword Competition। Keyword এর জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে উক্ত Keyword টিতে কি পরিমাণ Competition হবে। সার্চ মার্কেটাররা এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে কিছু বিষয় নির্ধারণ করেন। যেমন এই কিওয়ার্ডটি রেঙ্ক এ আনতে কতটুকু শ্রম এবং কি পরিমাণ সময় লাগাতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই সহজে কিওয়ার্ডকে rank এ আনার জন্য তুলনামূলক less competitive keyword গুলো নির্বাচন করা উচিত। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে keyword competitiveness বিবেচনা/নির্ধারণ করা হবে? আর competitive Keyword Analysis এর সাথে কি কি বিষয় জড়িত? keyword competition কে effectively করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো Keyword tool আছে কি?

এখন বিষয় হলো, আপনি ১০ জন Internet Marketer কে সঠিক keyword competition কিভাবে পরিমাপ করা এ ব্যাপারেজিজ্ঞেস করুন। দেখবেন ১০ জন ১০ টি ব্যাতিক্রম সমাধান দিয়েছে। কিন্তু competition analyze করার জন্য সাধারণ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো জানলে আপনি নিজেই ভালো analyzer হয়ে যাবে। আপনার প্রতিযোগীর সাইটগুলা বিবেচনা করলে আপনি আপনার কি-ওয়ার্ড এর কম্পিটিসন আন্দাজ করতে পারবেন।

এগুলো হলো:-

Relevant Content: keyword টি কি কনটেন্ট এর মধ্যে আছে?

Optimized Title : প্রতিযোগীর সাইটে আপনার নির্বাচিত keyword টি কি Title এ ব্যবহার করা হয়েছে?

Targeted Content: সাইটটিতে কি আপনার কিওয়ার্ডের উপর? নাকি জাস্ট পেজে কিওয়ার্ডটি মেনসন করা হয়েছে?

Page Links: উক্ত প্রতিযোগীর পেজে কতগুলো লিংক আছে?

Site Links: Root Domain এর উপর কতগুলো লিংক আছে?

Authority Links: উক্ত সাইটটিতে কি .edu, .gov, DMOZ, or Yahoo Directory link আছে?

Google Page Rank: সাইটটির Google Page Rank কত?

Site Age: Site টি কতদিন আগে তৈরী করা হয়েছে?

গুগল এ কত গুলো লিংক ইনডেক্স আছে ।

উক্ত সাইট গুলোর ব্যাক লিংক কত এবং তারা কি কি ধরনের ওয়েব সাইট থেকে ব্যাক লিংক পেয়েছে, আর এর জন্য আপনি backlinkwatch.com সাইট এর সাহায্য নিতে পারেন।

উক্ত সাইট গুলোর মধ্যে কতো গুলো সাইটের হোম পেজ এসেছে, অর্থাৎ ঐ কী-ওয়ার্ড যে রেজাল্ট এসেছে ওর মধ্যে কতো গুলো সাইটের মেইন ডোমেইন আছে।

Type of Site: রেঙ্ক এ থাকা বা প্রতিযোগী সাইটটি কি দুর্বল প্রকৃতির সাইট? যেমন: article directories, forums, Yahoo Answers, other Q&A sites, social sites, অথবা অন্য user generated type সাইট?


উপরোক্তপ্রশ্নগুলোর যখন উত্তর আপনার জানা হয়ে যাবে তখন আপনি নিজেই Keyword টি কতটুকু Competitive তা বুঝতে পারবেন। তাছাড়া আপনি board search result এবং exact search result ব্যবহার করেও keyword টির competition সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। আপনি গুগলে সার্চ দিয়েই এ সম্পর্কে আরও ধারণা পেতে পারেন। আমি শুধু আপনার সাথে কিছু টিপস শেয়ার করেছি। এর বেশি কিছু না। এটাকে কোনো মেথড মনে করবেন না। কারণ এটি সব categories তে কাজ নাও করতে পারে।


আপনিকিওয়ার্ডটি গুগলে সার্চ দেন। প্রথম ১০ টি সাইটকে বিশ্লেষণ করেন। যদি দেখে সবগুলোর মোট পেজরেঙ্ক ২৫ এবং exact match index count যদি 10K এর নীচে হয় তখন বুঝবেন এখানে minimal link building করে গুগুল সার্চে প্রথম চারের ভেতর পৌছা সম্ভব।


যদি মোট পেজরেঙ্ক ৩৫ এবং index count যদি 60K এর নীচে হয় তাহলে আপনাকে TOP-4 এ পৌছতে ২ কিংবা ৩ মাস সময় লাগবে। এক্ষেত্রেindex count যদি 100K এর নীচে হয় তবে দ্বিগুণ সময় লাগবে পারে।


আর যদিদেখেন পেজরেঙ্ক ৩৫ এর উপরে তখন index count যাই হোক না কেন বুঝতে হবে এটাinaccessible । এটি জাষ্ট একটা ট্রিকস. Don’t take it seriously কারণ একটি সকল niches সাইট অথবা ভিন্নধর্মী কোনো কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। আমি জাস্ট আপনাদের সাথে একটা উদাহরণ শেয়ার করলাম কিভাবে board search result এবং exact search result দিয়েও আপনি কম্পিটিসন বুঝতে পারবেন।


তা ছাড়া সবার ব্যাক লিংক যদি Avg. ১০০-১,০০০ এর মধ্যে থাকে ( এখানে শুধুমাত্র সেই লিংক এর ব্যাক লিংক এর কথা বলা হয়েছে যে লিংক সার্চ রেজাল্ট এ এসেছে, ঐ ওয়েব সাইটের হোম পেজ এর নয়) তাহলে ধরে নিতে হয়ে যে সেটি লো কম্পেটিশন ।


আর যদি ঐ কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিলে ৫০% ওয়েব সাইটের এর হোম পেজ আসে তাহলে ধরে নিতে হবে তা মোটামুটি হাই- কম্পেটিশন কী-ওয়ার্ড।

এবার আপনাদের সামনে সব কী ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস, লং টেইল কীওয়ার্ড কি কেন কিভাবে নিয়ে লিখছেন রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য।

কী ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস

আপনারসাইট কে ভালভাবে অপটিমাইজ করার জন্য কীওয়ার্ড খুবই গুরত্তপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার প্রত্যেকটি পেজ ভাল ভাল কীওয়ার্ড দ্বারা ভালভাবে অপটিমাইজ করা থাকে, তাহলে তারা সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভাল এবং টার্গেটেড ভিজিটর আনতে পারে খুব সহজেই।


এখানে অনেক নিয়ম আছে আপনার পেজ এর জন্য ভাল কীওয়ার্ড খুজে বাহির করার। তাদের মধ্যে খুব ভাল এবং জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রী কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলো কে কাজে লাগানো। তাই কিছু ভাল অনলাইন টুলস ( ফ্রি টুলস, ব্রাউজার এক্সটেনশান এবং কিছু পেইড সার্ভিস এর ফ্রি ভার্সান) নিয়ে আলোচনা করব। কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলো রিয়েল টাইম কোন ডাটা দিতে পারেনা কীওয়ার্ড সম্পর্কে প্রতি সার্চ এ। তারা তাদের ক্যাশ থেকে তথ্য গুলা দিয়ে থাকে।

নিচে কিছু কী ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস নিয়ে আলোচনা করছিঃ

১. গুগল অ্যাডওয়ার্ডস টুলস

(https://adwords.google.com/select/KeywordToolExternal):


নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -

সম্ভবতএটা হচ্ছে সব ফ্রি রিসার্চ টুলস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল এসইও এর জন্য এবং এটা গুগল এর নিজস্ব কীওয়ার্ড টুল। শুধুমাত্র একটা কীওয়ার্ড অথবা প্রতি লাইনে একটি একটি বাক্য বসিয়ে রিলেটেড কীওয়ার্ড গুলো খুব সহজেই খুজে পাওয়া যায়। এখানে আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় ফিল্টার করতে পারবেন প্রয়োজনভেদে যেমন এক্সেট অথবা ফ্রেজ ম্যাচ টাইপ যা এসইও এর জন্য দরকার হয়। এরপর ও আপনি বিভিন্ন ভাষায় এবং দেশ ভেদে কীওয়ার্ড সার্চ করতে পারবেন। এর সাথেও আরো কিছু ফিচার আছে এটার যেমন আপনি কীওয়ার্ড আইডিয়া পেতে পারেন ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপ ডিভাইস এবং মোবাইল ডিভাইস এর জন্য (ওয়াপ, মোবাইল ডিভাইস যাদের স্মার্ট ফোনের সুবিধা আছে), নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -

কীওয়ার্ডআইডিয়া ট্যাব এ আপনি একটা কলাম দেখবেন যেখানে থাকবে Competition, Global Monthly Searches, Global Local Searches, Ad Share, Google Search Network, Search Share, Approximate CPC (cost-per-click bid), Local Search Trends graph and Extracted From Webpage, আমি আপনাকে সাজেস্ট করব All Columns বাটন এ ক্লিক দিয়ে সবগুলো এনাবল করে দেয়ার জন্য ভাল সার্চ কীওয়ার্ড খুজে পেতে যা সাহাজ্য করবে। নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন

রিসার্চশেষ করার পর আপনি আপনার রিসার্চ করা কীওয়ার্ড রেজাল্ট গুলো CSV format এ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সবার মত আমরাও বলব যে এটা খুবই ইফেক্টিভ রিসার্চ টুল যার কাছে সব ধরনের ফিচার গুলো পাওয়া যায় এবং তা অবশ্যয় ফ্রিতে।

২. গুগল ইনসাইট/ ট্রেন্ড (http://www.google.com/trends/)নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -

ইনসাইট গুগল হচ্ছে গুগল এর অন্য একটি উপকারি টুল কীওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য। এটার মাধ্যমে আপনি মাল্টিপল কীওয়ার্ড তুলনা করতে পারবেন কিছু প্যারামিটার এর উপর যেমন সিলেক্টেড ক্যাটাগরি অনুযায়ী, দেশ অনুযায়ী এবং টাইম ফ্রেম অনুযায়ী। এখানেও আপনি ফিল্টার করার সুযোগ পাবেন যেমন ওয়েব সার্চ, ইমেজ সার্চ, নিউজ এবং প্রোডাক্ট সার্চ। এখানে আরো একটি মজার অপশন হচ্ছে আপনি আপনার তথ্য কে ওয়ার্ল্ড ম্যাপ এর মাধ্যমে তুলনা করতে পারবেন। নিচের ছবিটি দেখুন -

৩. Ubersuggest.org

নিচের ছবিটি দেখুন -

এটাহচ্ছে ফ্রি কীওয়ার্ড সাজেশন টুল যা গুগল কে ব্যাবহার করেই প্রায় তৈরি হয়েছে। এটার প্রধান কাজ হচ্ছে সাজেশান করা। এখানেও আপনি আপনার পছন্দমত ভাষা এবং আপনার কী ওয়ার্ড এর ধরন (ওয়েব, নিউজ, শপিং, ভিডিও অথবা রেসিপি) সিলেক্ট করতে পারবেন। Ubersuggest আপনার কীওয়ার্ড কে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করে আপনাকে সাজেস্ট করতে সক্ষম কীওয়ার্ড এর সাথে বর্ণ লাগিয়ে অথবা ডিজিট লাগিয়ে। সাজেশান করা কীওয়ার্ড গুলো দিয়ে যদি আপনি আবার সার্চ করেন তাহলে আরো লং টেইল সাজেশান পাবেন।

যেমন এস ই ও এর জন্য আমি ৩৮০ সাজেশান পেলাম। নিচের ছবিটি দেখুন -

মনেকরেন একজন ব্যক্তি মোবাইল ব্যাবহারকারী হিসেবে গুগল সার্চ করতে গেল একটা মোবাইল কেনার জন্য। তাহলে সাধারনত সে কখনই “Buy a mobile phone” লিখে সার্চ দিবেনা কারণ তার অবশ্যই কোন একটা মডেল পছন্দ থাকতে পারে। উদাহরণ দেয়া যাই তার একটি ৫ মেগাপিক্সেল এর নোকিয়া মোবাইল দরকার বাংলাদেশের কোন একটা স্পেসিফিক লোকেশান এ। তাহলে তার সার্চ অনুসন্ধান হবে “Nokia Mobile with 5 mega pixel camera in Bangladesh” তাহলে দেখা যাচ্ছে এখানে ব্র্যান্ড এর নাম উল্লেখ করা আছে, কিছু ফিচার ও আসছে এবং সাথে লোকেশান।

এটাকেই বলা হয়ে থাকে লং টেইল কীওয়ার্ড, যখন কোন কীওয়ার্ড ২, ৩ ও ৪ ওয়ার্ড ছেড়ে যাই তখন এটাকে লং টেইল কীওয়ার্ড বলা হয়ে থাকে। এটা খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ, এই কীওয়ার্ড গুলোর কম্পিটিশন কম থাকে এবং লোকাল মাসিক সার্চ বেশি থাকে। এবং ব্যাবহারকারী দের দিক থেকে চিন্তা করলে ভাল একটা পন্য খুজে বাহির করতে লং টেইল কীওয়ার্ড হচ্ছে বেস্ট কীওয়ার্ড।

কেন এই কী-ওয়ার্ড ভালঃ

লং টেইল কীওয়ার্ড এর কম্পিটিশন কম থাকে।
লোকাল মাসিক সার্চ বেশি থাকে।
লো কম্পিটিশন থাকায় সহজেই রেঙ্ক করানো যায়।
লং টেইল কীওয়ার্ড এর সাথে শর্ট প্রেজ কীওয়ার্ড গুলো ও চলে আসে তাই ওগুলোসহ তাড়াতাড়ি রেঙ্ক হউয়ার চান্স অনেক বেশি থাকে।
লং টেইল কীওয়ার্ড টার্গেটেড ট্রাফিক সাইট এ পাঠাতে সাহাজ্য করে।
CTR অনেক বেশি থাকে।
ব্যবসা এর জন্য লং টেইল কীওয়ার্ড খুবই দরকারি।

কিভাবে বাছাই করবেনঃ

আপনিগুগল অ্যাডওয়ার্ডস কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই লং টেইল কীওয়ার্ড বাছাই করতে পারবেন অথবা যে কোন শর্ট কীওয়ার্ড কে সেমরাশ এ দিয়ে দিলে আপনি লং টেইল কীওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। এছারা আপনি যদি Ubersuggest.org এর ব্যাবহার জানেন তাহলে অনেক লং টেইল কীওয়ার্ড খুজে বাহির করতে পারবেন আপনার টার্গেটেড টপিক এর উপর।

Google Adwords এ কী-ওয়ার্ড রিসার্চ এর পদ্ধতিঃ

এখনআমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে Google Adwords এ কী-ওয়ার্ড রিসার্চ এর করবেন। নিচের ধাপ গুলো একে একে অনুসরন করেলেই আশা করছি বুঝতে পারবেন।

নির্বাচন করুন আপনার কী-ওয়ার্ডঃ

প্রথমেGoogle Adwords এ যান। মনে মনে আপনার কাঙ্ক্ষিত কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করুন। মনে করুন আপনি FootBall বিষয়ক একটি সাইট বানাতে চান। কি ধরনের সাইট বানাতে চান Football নিয়ে? যেটি নিয়ে আপনি সহজেই কাজ করতে পারবেন বা আর্টিকেল লিখতে পারবেন সেটা নির্বাচন করুন। যেমন সেটি হতে পারে fantasy football . কিংবা আপনি শুধু Football লিখে সার্চ দেন। তাহলে দেখবেন অনেক রিলিভেন্ট কী-ওয়ার্ড চলে এসেছে। এবার যেই কী-ওয়ার্ড আপনার কাছে ভালো মনে হবে সেটা কি নির্বাচন করুন।


এখন আপনি দেখবেন যে কী-ওয়ার্ড এ সার্চ ভলিয়ম মোটামুটি ২,০০০-৫০,০০০ (Exact সার্চ) আছে সেগুলো বাছাই করতে।

আপনারমনের মতো কী-ওয়ার্ড খুজে পেলে সেই কী-ওয়ার্ডকে সার্চ দিন গুগল ট্রেন্ডস এ। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই কী-ওয়ার্ডটি এখনো লাইভ মানে সার্চ হয় কিনা। তাছাড়া ওখান থেকে আপনি দেখে নিতে পারবেন যে কোন কোন দেশ এ ঐ কী-ওয়ার্ড বেশি সার্চ হয়। এতে করে আপনি ঐ কী-ওয়ার্ড এর CPC ও নির্ধারণ করতে পারেন।

কম্পিটিটর এন্যালাইসিসঃ

কম্পিটিটর এন্যালাইসিস মানে হল আপনি যে কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করেছেন সেই কী-ওয়ার্ড এ যে প্রথম ১০ টি সাইট আছে সেগুলোর কম্পিটিশন বা তাদের ভ্যালু কেমন সেটা নির্বাচন করা। আপনাকে আগে ভাবতে হবে আপনি যে কী-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করছেন সেই কী-ওয়ার্ড এ আপনি সহজেই রাংক করাতে পারবেন কিনা। কারন সব কী-ওয়ার্ডএর কম্পিটেশন এক থাকে না, এমন অনেক কী-ওয়ার্ড আছে যার সার্চ ভলিয়ম অনেক বেশি কিন্তু এই ধরনের কম্পেটিশন অনেক কম। ঠিক ধরেছেন! আপনাকে ঐ ধরনের কী-ওয়ার্ড নিয়েই কাজ করতে হবে।


এখন আসুন দেখে নেই কোন কোন বিসয়ের উপর নির্ভর করে আপনি নির্ধারণ করবেন যে আপনি ঐ কী-ওয়ার্ড এ কাজ করতে পারবেন কি না।

আরএই কাজ করার জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে SEO Quack এডঅন্স। যাদের এখন ওএই এডন্স নেই তারা ডাউনলোড করে আপনার ব্রাউজার এ ইন্সটল করে নিন।

কাজের ধাপঃ


প্রথমে আপনি যে কী-ওয়ার্ড সিলেক্ট করেছেন সেই কী-ওয়ার্ডটি গুগল এ সার্চ করুন।


এরপর যে ওয়েব সাইট গুলো আসবে সেখান থেকে দেখে নিন তাদের ভ্যালু গুলো। আর কি কি বিষয় গুলো দেখবেন তা উপর থেকে সানি ভাই এর লেখা কি-ওয়ার্ড প্রতিযোগীতা এবং প্রতিযোগী বিশ্লেষণ: এর পয়েন্ট গুলো পরে দেখেন।


আশা করি ঐ বিষয় গুলো ফলো করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার নির্বাচিত কী-ওয়ার্ড দিয়ে আসলেই র্যাংিক আপ করাতে পারবেন কিনা।


আর যদি আপনি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করতে চান তাহলে আমি আপনাদের রিকমেন্ড করব ট্রাফিক ট্রাভিস ব্যবহার করতে। তবে ম্যানুয়েলি করাই সবচেয়ে ভালো।


Keyword ROI কি এবং কিভাবে নির্ধারণ করবেন।


এতক্ষণেহয়তো অনেক কষ্ট করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত কী-ওয়ার্ড পেয়ে গেছেন। যাক খুবই ভালো কথা, কিন্তু এই কী-ওয়ার্ডটি আসলেই কতটুকু লাভজনক হবে আপনার জন্য তা কি কখন ও ভেবে দেখেছেন?? হয়তো না। আর এই লাভ বা লোকসানই হল Keyword ROI। ROI এর মানে হল Return On Investment । কত লাভ করবেন আপনি, কত সময় লাগবে এই সব বিষয় হিসাব করাকেই বলা হয় Calculating Keyword ROI for SEO। আসুন দেখে নেই কিভাবে আপনি এর হিসাব নিকাশ করবেন।


সার্চ রেজাল্ট এর CRT রেটঃ


CRT= Click Through Rate । আমরা যখন সার্চ ভলিঊম দেখতে পাই একটি কী-ওয়ার্ড এ তখন সবারই ধারনা যে ভলিউম দেখায় ঠিক সেই ভলিউমই পাওয়া যায়। আসলে ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারন একটি সার্চ রেজাল্ট পেজ এ ১০টি পেজ থাকে এবং প্রতিটা ওয়েব সাইট ই ভিজিটর পায় সেটা কম বা বেশি, যেমন আপনার সার্চ ভলিউম যদি হয় ৫০,০০০ প্রতিমাসে এবং আপনি যদি ১ম রেংক এ থাকেন তাহলে আপনি ৫০,০০০ ই পাবেননা, আপনার কী-ওয়ার্ড অনুসারে আপনি ৩০-৬০% পর্যন্ত পাবেন। তার মানে হলোআপনি ৫০,০০০ ভলিউম এর থেকে ১৫,০০০-৩০,০০০ ভিজিটর পাবেন। বাকি ভিজিটর গুলো অন্য রেংকিং এ থাকা ওয়েব সাইট গুলতে ভাগ হয়ে যায়।


আবার ভিন্ন ভিন্ন টাইপ এর কী-ওয়ার্ডএর CRT ও ভিন্ন হয়। SEOMoz থেকে পাওয়া কিছু তথ্য আজ আমি আপনাদের সামনে দেখাবো। তাহলে আপনি ও বুঝতে পারবেন যে আপনি যা টার্গেট করেছেন তার থেকে ঠিক কতোটুকু ভিজিটর আপনি পাবেন।


এটা হল কী-ওয়ার্ড টাইপ এর ছক

Average CTR of all queries

এখানেদেখা যাচ্ছে এভারেজ সব ধরনের কী-ওয়ার্ড এর ১ম পজিশনে থাকা ওয়েব সাইট ভিজিটর পায় ৫২%, ২য় পায় ৩২%, এভাবে ক্রামানুসারে ১০ম পজিশন এর সাইট পায় ৮%। এখানে দেখা যায় যে সব গুলোর CRT যোগ করলে হয় ২০৮%! এর মানে হল একজন মানুষ একটি কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে শুধু ১টি সাইট ই ভিজিট করে না, গড়ে প্রতিটি ভিজিটর সার্চের ২টি করে সাইট ভিজিট করে।


এভাবে অন্য সব কী-ওয়ার্ড এর CRT এর মধ্যে রয়েছে।


Average CTR of brand queries

Average CTR of product queries

Average CTR of general queries

Long tail queries

যেভাবে keyword RIO নির্ধারণ করবেন


নিচে keyword RIO নির্ধারণের পদ্ধতি গুলো স্টেপ বাই স্টেপ দেয়া হল।


১ম ধাপঃ প্রথমে আপনি আপনার কী-ওয়ার্ড এর Monthly Search Volume বের করুন। আর কিভাবে বের করবেন এতক্ষণে নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছেন।


২য় ধাপঃ এবার আপনি আপনার সার্চ ভলিউম এর CRT নিন এবং দেখুন আপনি কতজন ভিজিটর পাবেন। যদি আপনার টার্গেট কী-ওয়ার্ড এর ভলিউম হয় ৪০,০০০ এবং আপনি ১ম পজিশন এ থাকেন তাহলে ধরুন ৬০% ভিজিটর আপনি পাবেন। অর্থাৎ ২৪,০০০ প্রতিমাসে। এখন এই ভলিউম থেকে আপনাকে আপনার Conversation রেট বের করতে হবে, এখানেআপনি আপনার যে ম্যাথড এর উপর আয় করতে চান তার উপর নির্ভর করে, যেমন আপনিযদি এডসেন্স ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার এড এর CRT ধরতে পারেন ৬-১০% এর মধ্যে। তাহলে আপনি প্রতিমাসে ২৪,০০০ ভিজিটর থেকে ১০% Conversation পাবেন। অর্থাৎ ২,৪০০ ক্লিক।


৩য় ধাপঃ এবার আপনি আপনার Conversation কে গুন করবেন আপনার CPC (Cost Per Click) দিয়ে, এখানে এডসেন্স হলে CPC আর এফিলিয়েট হলে আপনার কমিশন রেট। আমি এখানে এডসেন্স এর CPC ধরে হিসাব করলাম। অর্থাৎ আপনার CPC যদি $০.৮০ হয় তাহলে তা Conversation দিয়ে গুন করুন। তার মানে ২৪০০X০.৮০= $১৯২০ ডলার প্রতিমাসের আয়।


৪র্থ ধাপঃ এবার আপনি এই প্রতিমাসের আয়কে ৩০ দিন দিয়ে ভাগ করে বের করতে পারেন আপনার প্রতিদিনের আয়। আর উপরের হিসাব থেকে দেখা যায় আপনার প্রতিদিনের আয় হয় ৬৪ ডলার।


৫ম ধাপঃ এখানেইশেষ নয়, আপনার কাজ শুরু করার আগে টার্গেট নিতে হবে আপনি কয়মাস পর এই অবস্থানে যেতে পারবেন, সেটা হতে পারে ৩ মাস, ৬ মাস বা ১ বছর। যদি তা ৩মাস হিসাবে ধরেন তাহলে কিন্তু আপনি ৩মাসের আগে এই এমাউন্ট পাবেন না। অর্থাৎ আপনাকে ৩মাস ইনভেস্ট করতে হবে,( এখানে সময় ও অর্থ এর কথা বলা হয়েছে). এখন আপনার এই ৩ মাসে যে সময় এবং অর্থ ঐ ওয়েবসাইট র্যাং কিং এর জন্য ব্যয় করেছেন তার সমষ্টি যদি ৩ মাস পরের আয়ের সাথে মিলে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার RIO ঠিক আছে। অর্থাৎ আপনি যা ইনভেস্ট করেছেন তা আপনার উঠে এসেছে, এবং আপনি যদি সব মিলিয়ে এই ৩ মাসে ১০০০ ডলার ইনভেস্ট করেন এবং ৩ মাস পর যদি আপনি ২০০০ ডলার ব্যাক পান তাহলে আপনার RIO হবে ২০০% মানে আপনার ইনভেস্ট এর দ্বিগুণ আপনি ফেরত পেলেন।

অনেক হিসাব নিকাশ হল তাই না?? আসলে একটু ঠাণ্ডা মাথায় সব কিছু দেখলেই এই RIO সম্পর্কে আপনার আর কোন সমস্যা হবে না, আজ এই পর্যন্তই। ইচ্ছা ছিলো আর অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করার, কিন্তু এতোলেখা একবারে অসম্ভব। আর কী-ওয়ার্ড রিসার্চ এর ব্যাপকতা অনেক, যা আসলে ধীরে ধীরে আপনাকে অর্জন করতে হবে, টেকনিক্যাল পথের সাথে অভিজ্ঞতার ও প্রয়োজন আছে আর সেটা সময় সাপেক্ষ। আর সময় দিতে থাকুন এবং শিখতে থাকুন কী-ওয়ার্ড রিসার্চ।

২য় ক্লাশের উত্তরসমূহঃ


আমাদের গ্রুপের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপে আমাদের ২য় ক্লাশের ডক প্রকাশ করার পর যে সকল প্রশ্ন এসে জমা হয়েছে তার উত্তর নিচে দেয়া হলঃ


প্রশ্ন ১. আর যদি দেখেন পেজরেঙ্ক ৩৫ এর উপরে তখন index count যাই হোক না কেন বুঝতে হবে এটা inaccessible”" এখানে Inaccessible মানে কি বোজানো হয়েছে ?


উত্তরঃ Inaccessible মানে বলতে অনেক কঠিন যেখানে র‌্যাঙ্ক করাটা প্রায় অসম্ভব হবে।


প্রশ্ন ২. এখানে minimal link building করে গুগুল সার্চে প্রথম চারের ভেতর পৌছা সম্ভব।”" minimum link building এর মাত্রা কতো ?


উত্তরঃ আসলে ওইভাবে লিঙ্ক বিল্ডিং এর পরিমাণ বলা যাবেনা। মিনিমাম বলতে সর্বনিম্ন কাজ মানে পরিমানে সবছে কম বুঝিয়েছি।


প্রশ্ন ৩. এটি জাষ্ট একটা ট্রিকস. Don’t take it seriously”" এই টেকনিক এর উপর কতোটুকু বিশ্বাসী এবং আপনার কিওয়ার্ড এর রেঙ্কিং পেতে কতো টুকু ইউজ করেন। শতকরা হিসেবে একটা মাত্রা জানতে চাচ্ছি।


উত্তরঃএটা একটা উদাহরণ ছাড়া কিছুই না। আমি কিভাবে গুগল সার্চ ব্যবহার করে কম্পিটিশন এর আন্দাজ করা যায় তাই বুঝাতে ছেয়েছি। আমি এটা ধারা একটা ধারণার নিয়ে থাকি। তবে পান্ডা আর প্যাঙ্গুইন আপডেটের আগে এটা ফলপ্রশু ছিল।


প্রশ্ন ৪. একটা কিওয়ার্ড এ টপ ১০ এ হোমপেজ আছে ৩ টা সাইট এর। এখন আমি যদি ওই কিওয়ার্ড দিয়ে আমার সাইট এর একটা পেজ কে রেঙ্ক পাওয়াতে চাই, তবে ওদের মোট শক্তি সামর্থ্য (এনালাইসিস করে বের করে) এর চেয়ে কয়গুন বেশি কাজ করতে হবে ?


উত্তরঃ ওইযে ওইভাবে বলা জায় না আগেই বললাম। কারও ১০টা লিঙ্ক মানে এমন না যে আপনি ১২টা করলেই তার থেকে এগিয়ে যাবেন। এটা কাজ করতে গেলে নিজের ধারণা হয়ে যাবে আস্তে আস্তে।


প্রশ্ন ৫. গুগল এডওয়ার্ড এ যে ভলিওম টা দেখায়, সেটা কতদিনের উপর ভিত্তি করে ? মানে এক মাস, তিন মাস, এইরকম, আসলে কোনটি ?


উত্তরঃ সঠিক উত্তর জানা নাই। অনেক বিষয়ের উপর এটা নির্ভর করে।

Releted Content

এসইও কী-ওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার
4/ 5
By