ইউটিউবকে টেক্কা দিতে ইউনিভার্সালের সঙ্গে ফেসবুকের চুক্তি

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য ভিডিও পোস্ট জনপ্রিয় করতে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের সাথে কয়েক বছরের জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হল ফেসবুক। এই চুক্তির ফলে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের ভিডিওতে কপিরাইটের ঝামেলা ছাড়াই মিউজিক ব্যবহার করতে পারবেন।

এই চুক্তির আওতায় ইনস্টাগ্রাম ও অকুলাসের জন্য তৈরি ভিডিওতেও ইউনিভার্সালের গান ব্যবহার করা যাবে।

আগে কোনো গানের কপিরাইট না নিয়ে সেটি ভিডিওতে ব্যবহার করা হলে আইন ভঙ্গের দায়ে ওই ভিডিওগুলো সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হত। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কপিরাইট ভঙ্গের জন্য সৃষ্ট সমস্যা কমানোর লক্ষ্যে এই চুক্তি করল ইউনিভার্সাল মিউজিক ও ফেসবুক।

আইন মেনে ভিডিও পোস্ট জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে ফেসবুক। সামাজিক মাধ্যমটি জানিয়েছে ইউনিভার্সালের সাথে চুক্তি এই লক্ষ্যে তাদের প্রথম পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে গান ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য বা পোস্ট তৈরি করাকে উৎসাহিত করতে আরও পদক্ষেপ নেবে তারা।

ইউনিভার্সালের সাথেই প্রথম এরকম চুক্তি করলেও, এটিই শেষ নয়। ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপ ও সনি মিউজিক গ্রুপের সাথেও একই রকম চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে নিউজ সাইট দ্য ভার্জ।

ফেসবুকের বিভিন্ন সার্ভিসে গানের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করছে সামাজিক মাধ্যমটি। এজন্য বিভিন্ন মিউজিক কোম্পানির সাথে আলোচনা শুরু করেছিল ২০১৫ সালে। এক পর্যায়ে ফেসবুক তাদের সাইটে কপিরাইট ভঙ্গের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা শুরু করে। এতে ফেসবুকের বর্তমান উদ্যোগে ইউজার ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দুটোই লাভবান হবে।

ফেসবুক ভিডিও পোস্ট জনপ্রিয় করার জন্য আরও নানান উদ্যোগ নিচ্ছে। সম্প্রতি ইউটিউব ও নেটফ্লিক্সের মত ভিডিও নির্ভর সাইটের অনুকরণে ‘ফেসবুক ওয়াচ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে সামাজিক মাধ্যমটি।

ব্লগিং ? আমাকে কি জানতে হবে? ব্লগিং করে লাভ কি?

ব্লগিং সম্পর্কে কিছু ধারনা। আজকে আমি যেই বিষয় গুলি নিয়ে আলচনা করব, সেগুলি হলঃ
১. ব্লগিং কি?
২. আমাকে কি জানতে হবে?
৩. ব্লগিং করে লাভ কি?

আমরা আজকে এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা নেয়ার চেস্টা করব। আশা করি এই ক্লাসের মাধ্যমেই আপনি ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পাবেন।

১. ব্লগিং কিঃ

ব্লগিং হল এমন একটি বিষয়, যেখানে আপনাকে শুধু একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে লিখতে হবে। সাধারনত যেই ওয়েবসাইটে ব্লগিং করা হয় সেটাকে ওয়েবসাইট না বলে ব্লগ বলা হয়। আমরা পরবর্তী ক্লাশে ব্লগ সম্পর্কে জানব। ব্লগে আপনার লেখালেখিকেই মূলত ব্লগিং বলা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগে কি নিয়ে লেখা হয়? উত্তরঃ একজন ব্লগার যা জানেন তাই ব্লগে লিখে থাকেন, সেটা যেকোনো বিষয় নিয়ে হতে পারে। যেমনঃ ভ্রমন সম্পর্কিত তথ্য, প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য, বই সম্পর্কিত তথ্য, মুভি বিষয়ক তথ্য, কম্পিউটার বিষয়ক তথ্য, ইত্তাদি। আবার অনেক ব্লগার আছেন যারা শুধুমাত্র তার নিজের দৈনন্দিন কারযবলি নোট করে থাকেন। এক কথায় কোন ব্লগে লেখালেখিকেই ব্লগিং বলা হয়। ব্লগিং আবার দুই ধরনের হয়,
ক. প্রফেশনাল ব্লগিং,
খ. গেস্ট ব্লগিং।

প্রফেশনাল ব্লগিং: প্রফেশনাল ব্লগিং হল, নিজস্ব একটা ব্লগ তৈরি করে সেখানে ব্লগিং করা। প্রফেশনাল ব্লগাররা নিজস্ব ডোমেইন ও হস্টিং কিনে তার নিজস্ব ব্লগিং প্লাটফর্ম তৈরি করেন। মূলত এটাই আদর্শ ব্লগিং ব্যবস্থা।

গেস্ট ব্লগিং: গেস্ট ব্লগিং হল অন্য কারো ব্লগে গিয়ে লেখা। ইন্টারনেটে অনেক ব্লগ আছে যেখানে, আপনি লেখার সুযোগ পাবেন। আর আপনার লেখা থেকে যতটুকু আয় হবে তার থেকে আপনি একটা অংশ পাবেন।

এই হল ব্লগিং। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন।
২. আমাকে কি জানতে হবেঃ

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে যা জানতে হবে তা হল, ১. যে ভাষায় ব্লগিং করবেন (ইংরেজি হলেই বেস্ট), ২. রাইটিং স্পিড, ৩. ধৈর্য।
এই তিনটি বিষয় জানা থাকলেই আপনি আপনার ব্লগিং লাইফ শুরু করতে পারেন। আর আপনাকে গাইড লাইন দেয়ার জন্য ব্লগিং স্কুলতো আছেই। ব্লগিং জগতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে ধৈর্য। ধৈর্য ছাড়া আপনি এখানে উন্নতি করতে পারবেন না। আপনি এক সময় খুবই বিরক্ত হয়ে পরবেন, কিন্তু তখনই আপনাকে আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। আর আপনি যদি ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলেই আপনি সাফল্য পাবেন।
৩. ব্লগিং এর লাভঃ

এতক্ষণে মনে হয় বুঝে গেছেন ব্লগিং কি? এখন আপনাদের বলছি এটি করে কি লাভ? আপনারা জানেন আপনার লেখা গুলি অন্য কেউ পরে উপকৃত হচ্ছে। আপনি যদি খুবই ভালো ভালো বিষয় সম্পর্কে লিখতে পারেন, তাহলে আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিসিটর আসবে। আর ভিসিটর আসলেই আপনার লাভ। যত বেশী ভিসিটর আসবে ততই লাভ। এখন আপনাকে প্রচুর পরিমানে ভিসিটর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যতদিন আপনি ভালো ভিসিটর না পান, ততদিন আপনাকে বিনামূল্যে কাজ করে যেতে হবে। এতে হতাশার কিছুই নেই। এই শ্রমটুকুই আপনাকে একদিন সাফল্য এনে দিবে।
৪. ব্লগ থেকে আয়

এখন বলি কিভাবে আয় করবেন। ব্লগ থেকে আয়ের বিভিন্ন উপায় আছে, যেমনঃ এফিলেশন, বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, স্পন্সর পোস্ট, ইত্যাদি। এখান থেকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনই সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা আছে, যারা আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিবে। বিনিময়ে আপনি কি পাবেন? আপনি পাবেন আপনার কাংখিত আয়। বিজ্ঞাপন প্রদর্শন নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলচনা করা হবে।
এভাবেই আপনি আপনার ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। সেগুলি নিয়েই আজকের ক্লাশটি সাজানো হয়েছে।



ব্লগিং সম্পর্কে নিশ্চয় জেনেছেন। এখন ব্লগিং শুরু করার পালা। এই যে ভাই, খারান। এখনি দৌড় মারতেছেন। মনে হচ্ছে দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসবেন। আরে ভাই এত সহজ না। ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যেন পরে না আটকে যান। যাই হোক আজকের ক্লাস এখান থেকেই শুরু করছি।
ব্লগিং শুরু করার আগে যা ভাববেনঃ

১. ব্লগিং এ ইনভেস্ট করবেন কিনাঃ

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমেই ভাবতে হবে ইনভেস্ট করবেন কিনা। ইনভেস্ট বলতে আপনার ব্লগ সাইটটি তৈরির কথা বলা হচ্ছে। আপনি প্রথমে ফ্রি ব্লগ দিয়েও শুরু করতে পারেন। আর যদি প্রথমেই প্রফেশনালদের মত শুরু করতে চান, তাহলে কিছু ইনভেস্ট তো করতে হবেই। ইনভেস্ট করা হবে আপনার ব্লগের জন্য ডোমেইন এবং হস্টিং কেনার জন্য। ডোমেইন এবং হস্টিং সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু বলব, ব্লগিং শুরু করলে ডোমেইন হস্টিং কিনেই শুরু করা উচিত। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে আপনার ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বেশী খরচ হবে না। আর যদি কেউ মনে করে আমি প্রথমেই ইনভেস্ট করব না, তার জন্যও উপায় আছে।
২. ব্লগিং প্লাটফর্মঃ

দ্বিতীয়ত আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কোন প্লাটফর্মে ব্লগ তৈরি করবেন। নিম্নে জনপ্রিয় দুইটি প্লাটফর্ম নিয়ে আলোচনা করা হল।
ওয়ার্ডপ্রেসঃ প্রফেশনাল ব্লগারদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেসই বেস্ট। কারন ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্লগিং জগতের হিরো বলা হয়। ব্লগিং এ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থেকেই পেতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে সুবিধা হল, ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ তৈরি করতে আপনাকে ওয়েব ডেভেলপিং সম্পর্কে জানতে হবে না। ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারনা থাকলেই আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি সুন্দর ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ তৈরি করতে হলে আপনাকে ডোমেইন এবং হস্টিং কিনে কাজ করতে হবে।
ব্লগস্পটঃ যারা ফ্রি ব্লগিং করতে চান, তাদের জন্য ব্লগস্পট আশীর্বাদ স্বরূপ। ব্লগস্পট সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের একটি সার্ভিস, তাই এর নিরাপত্তা ১০০% । আপনি ব্লগস্পট এর মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি ব্লগ সম্পূর্ণ ফ্রিতে তৈরি করে ফেলতে পারেন। ব্লগস্পট দিয়ে ব্লগ তৈরি করলে আপনার এক টাকাও খরচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৩. ব্লগিং এর বিষয়ঃ

এখন আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি নিয়ে ব্লগিং করবেন। অনেকে আছেন হুট করে এক বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করে দেন। এতে তিনি এক পর্যায়ে গিয়ে থামতে বাধ্য হন। কারন তার জ্ঞানের ঝুলি শেষ। তাই আপনাকে এমন একটি বিষয় বেছে নিতে হবে, যেটা আপনি সবচেয়ে ভালো বুঝেন। ধরুন আপনি ঘুরতে ভালোবাসেন, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান নিয়ে আপনি ব্লগিং করলেই আপনার ভালো হবে। কারন আপনি সেটা সম্পর্কে জানেন। যদি আপনি একটা দর্শনীয় জায়গায় গেলেন কিন্তু আপনি বেড়াতে ভালোবাসেন না। আপনি কি একটা জায়গা সম্পর্কে জানেন জন্যই সেই বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন? এটা থবে আপনার ভুল। কারন আপনি ভ্রমন সম্পর্কে আর কিছুই জানেন না। এজন্যই আপনাকে এমন একটা বিষয় বেছে নিতে হবে, যার সম্পর্কে আপনার বিস্তর জ্ঞান রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কিছু জানার নিশ্চয়তা আছে।
৪. সময় দেয়ার নিশ্চয়তাঃ

অনেকেই আছেন শখের বশে ব্লগিং শুরু করেন, কিন্তু পরে সময় দিতে পারেন না। এতে তার কোন লাভ হবে না। কারন হাতে প্রচুর সময় থাকলেই ব্লগিং করা উচিৎ। সাফল্য পাওয়ার পরে বেশী সময় না দিলেও চলে। তাই আপনাকে ব্লগিং এ সময় দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেই ব্লগিং এ নামতে হবে। নতুবা আপনি খুব তাড়াতাড়িই ব্লগিং থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবেন।

ব্লগস্পট কি? ব্লগস্পট ব্লগিং সম্পূর্ণ নিয়ম

ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম ব্লগস্পট সম্পর্কে যেনে গেছেন। আজকে ব্লগস্পট নিয়েই আলোচনা করব।


ব্লগস্পট কি?

ব্লগস্পট কি? ব্লগস্পট হল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম। বর্তমানে যতগুলো ফ্রি ব্লগ সার্ভিস আছে তার মধ্যে সেরা হল ব্লগস্পট। ব্লগস্পটের লিঙ্ক হলঃ http://www.blogger.comএখানে আপনি ফ্রিতে আপনার প্রথম ব্লগটি সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারবেন। কোন প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই এখানে একটি খুব সুন্দর মানের ব্লগ তৈরি করা সম্ভব।
ব্লগস্পট এর সুবিধাঃ

ব্লগস্পট এর মালিক গুগল চেষ্টা করে গ্রাহক কে সর্বচ্চো সুবিধা দেয়ার। আপনি ব্লগ ডিজাইনে ব্লগস্পট থেকে মোটামুটি পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। ব্লগস্পটের রয়েছে বেশকিছু নিজস্ব থিম। এছাড়া ইন্টারনেটে ফ্রিতে অসংখ্য থিম পাওয়া যায়। আপনি যেকোনো একটি থিম নিয়ে ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। ব্লগস্পোত এর রয়েছে হাই পারফর্মেন্স সার্ভার। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এটি এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগিং প্লাটফর্ম, ফলে গুগল থেকে আপনি পাবেন অসংখ্য ভিজিটর। অনেক ব্লগ আছে যেগুলি টাকা দিয়ে তৈরি ব্লগ এর চেয়েও বেশী ভিসিটর পায়। তাই আমি আপনাদের ব্লগস্পট দিয়েই ব্লগিং শুরু করার কথা বলব। তাছাড়া অনেকে প্রথমেই টকা খরছ করতে চায় না, তাদের জন্য তো অবশ্যই ব্লগস্পট।
কেন এটি সেরা?

অনেকেই হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন যে, কেন এটি সেরা? আমি বলব এর মালিক গুগল তাই এটি সেরা। এর ইন্টারফেস আপনার পছন্দ না হলেও এটি সেরা, কারন এর মালিক গুগল। আপনারা আবার বলতে পারেন যে গুগল বলেই সেরা? হ্যাঁ, কারন ব্লগের প্রাণই হচ্ছে ভিজিটর। আপনি যদি কোন ভিজিটর না পান, তাহলে সুন্দর ডিজাইন আপনার কোন কাজে আসবে না। গুগল ব্লগসট কে যে চোখে দেখবে অন্যান্য ফ্রি ব্লগকে নিশ্চয়ই সেই চোখে দেখবে না। ফলে ভিজিটর কিন্তু ব্লগস্পটেই বেশী পাঠাবে। আর আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, গুগল ই সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন। তাই আগেই ভাবুন, পরে ব্লগস্পটের দিকে এলে আপনিই পিছিয়ে পরবেন। ব্লগস্পটে রয়েছে ডোমেইন পারকিং এর সুবিধা, যা অনেক জায়গাতেই নেই। আর এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। গুগল আপনার কাছ থেকে একটি টাকা চাইবে না, বা কোন প্রকার সুবিধা দাবি করবে না। সব বিষয় চিন্তা করে বলা যায়, ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্লগস্পটই সেরা।
এখান থেকে কি আয় করা সম্ভব?

হ্যাঁ, ব্লগস্পট এর আরেকটি সুবিধা হল এখান থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। আপনার ব্লগ যদি গুনগত মান-সম্মত হয়, তাহলে আপনি গুগল এর কাছে বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি অন্যান্য বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকেও এখানে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এজন্য গুগল আপনার কাছ থেকে টাকার ভাগ চাবে না। অনেক ব্লগার আছেন যারা ব্লগস্পট এ ব্লগিং করেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। আমার এক ফ্রেন্ড আছে, যে গত মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করেছে তার দুইটা ব্লগস্পট ব্লগ থেকে। তাই আপনাদের বলব ব্লগস্পটে অন্যান্য প্রফেশনাল ব্লগ এর মতই আয় করা যায়।
কিছু অসুবিধাঃ

সব কিছুতেই একটু অসুবিধা থাকে, তারপরে এটি ফ্রি সার্ভিস। এর অসুবিধা গুলি নিম্নে দেয়া হলঃ
এখানে আপনি সহজেই অন্যদের লেখার সুযোগ দিতে পারবেন না।
এখানে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের মত সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন না।
এখানে গুগলের নির্ধারিত নিয়ম-কানুন গুলি মেনে চলতে হবে।
নিয়ম ভঙ্গ করলে আপনাকে ব্যান করা হতে পারে।
সম্পূর্ণ প্রোগ্রামিং সুবিধা পাবেন না।
ব্লগিং ইন্টারফেস পরিবর্তন করতে পারবেন না।
আপনি শুধুমাত্র ডিজাইন টাই কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

এর পরেও ব্লগস্পটই সেরা, কারন অন্যান্য জায়গায় এর চেয়েও বেশী অসুবিধা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

ব্লগস্পট এ ব্লগ তৈরির সম্পূর্ণ নিয়ম দেখব। ব্লগস্পট এ ব্লগ তৈরি অনেক সহজ। আশা করি আজকের ক্লাশটির পরে আপনারা সবাই ব্লগস্পট এ ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।

ব্লগস্পটে ব্লগ খুলতে আপনাকে প্রথমে ব্লগস্পট এর হোমপেজ http://blogger.com এ যেতে হবে।

এখানে আপনার Gmail আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন-ইন করুন। Gmail আইডি না থাকলে তৈরি করে নিন।
কিছুক্ষণের মধ্যে আপনি ব্লগস্পট ড্যাশবোর্ড এ প্রবেশ করবেন।

এখানে আপনার ব্লগ গুলির লিস্ট দেখাবে। নতুন ব্লগ খুলতে New Blog এ ক্লিক করুন।

এখন আপনি নতুন ব্লগ খোলার একটি ফর্ম পাবেন।

এখানে আপনার নতুন ব্লগের ইনফরমেশন (যেমনঃ টাইটেল, এড্রেস, টেমপ্লেট) গুলি দিন। এড্রেস এর সময় একটা এড্রেস Not available দেখালে আরেকটি দিয়ে চেস্টা করুন। এখন Create blog এ ক্লিক করুন।

এখন ব্লগ লিস্টে আপনি আপনার ব্লগটি দেখতে পারবেন।



আপনার ব্লগ এর নামের উপর ক্লিক দিন। এখন আপনাকে আপনার ব্লগ এর কনট্রোল প্যানেল এ নিয়ে যাবে। এখান থেকেই আপনি আপনার ব্লগটি নিয়ন্ত্রন করবেন।


এখানে আপনি আপনার ব্লগের এনালাইটিক্স ট্রাফিক দেখতে পাবেন। আর ব্লগ কিন্তু ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। যেহেতু আপনার ব্লগে কোন পোস্ট নেই, সেহেতু আপনি আপনার ব্লগটি পরীক্ষা করতে পারছেন না। তাই পোস্ট করতে New post এ ক্লিক করুন।

এখন পোস্ট এডিটর ওপেন হবে।



এখানে আপনি আপনার পোস্টটি লিখুন। আশা করি, কিভাবে লিখবেন এটা বলে দিতে হবে না। পোস্ট লিখার পরে Publish বাটনে ক্লিক করুন।

Publish বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে পোস্ট মেনু আসবে।


এখানে আপনি আপনার পোস্ট এর লিস্টগুলি দেখতে পাবেন। এখন আপনি আপনার ব্লগটি দেখতে পারেন। আপনার ব্লগটি দেখতে আপনার ব্লগ এর এড্রেস এ ঢুকুন (ব্লগ খোলার সময় যেটা দিয়েছিলেন) অথবা, View blog এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডোতে আপনার ব্লগটি ওপেন হবে।



হয়ে গেল আপনার ব্লগ। আপনার এখন একমাত্র কাজ বেশী বেশী পোস্ট করা। কারন, যত বেশী পোস্ট তত বেশী ভিজিটর - যত বেশী ভিজিটর তত বেশী টাকা।

উন্মোচিত হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের গেম’


মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর গেম ‘মুক্তিক‍্যাম্প’ উন্মোচন করা হয়েছে। গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘মাইন্ড ফিশার গেমস’ গেমটি আপাতত শুধু অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের জন্য আনা হচ্ছে। আর এই গেম খেলতে ১.৫ গিগাবাইট র‍্যামের স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে।

এই গেমের শুরুতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পরিত্যক্ত একটি গ্রাম দেখা যাবে যেখানে কয়েকজন মুক্তিকামী বাঙালি একটি ক্যাম্প বানাতে কঠোর পরিশ্রম করছেন। ক্যাম্পে আশপাশের গ্রামের লোকজনকে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার থেকে শুরু করে রোগমুক্তির জন্য ওষুধ সবই মজুদ করা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানি হানাদার নিধনের পরিকল্পনা।

প্রাথমিক পর্যায়ে গেমটি অফলাইনে খেলা যাবে। আগামী বছর এপ্রিল পর্যন্ত এই অফলাইন সংস্করণে দেওয়া হবে বিভিন্ন হালনাগাদ এবং যুক্ত হবে নতুন লেভেল। আর আগামী বছর এপ্রিল মাসেই অনলাইন সংস্করণটি বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘হিরোজ অব ৭১’ এর প্রতিষ্ঠান ‘পোর্টব্লিস’ এবং ‘গেম ওভার স্টুডিও’ এক হয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘মাইন্ড ফিশার গেমস’। এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিলুর রশিদ ও প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা মাশা মুস্তাকিম।

২০১৭ নতুন এবং পরিবর্তিত গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল প্রসেস ! সহজ পদ্ধতি


এটা কারো অজানা নয় যে অ্যাডসেন্স হল বিশ্বের সবথেকে High Paying Contextual অ্যাড প্রোগ্রাম। তাই এগুলো পুনরায় বলার কোন দরকার নেই। এতদিন পর্যন্ত অ্যাডসেন্স (Google adSense ) অ্যাপ্রুভাল প্রসেস খুবই সহজ ছিল। শুধু এপ্লাই করতে হত, গুগল টিম সেটা রিভিউ করত, আর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক দিনেই অ্যডসেন্স অ্যাপ্রুভ হয়ে যেত। কিন্তু এটা খুবই খুশির খবর যে সম্প্রতি গুগল, নতুন পাবলিশার দের জন্য অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল প্রসেস আরো সহজ করে দিয়েছে। কি কি সুবিদা দেওয়া হয়েছে নতুন এই অ্যাপ্রুভাল প্রসেসে নিচে থেকে স্টেপ বাই স্টেপ দেখেনিন।

চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল প্রসেস :

১) প্রথমে আপনি অ্যাডসেন্সের নীতিমালা মেনে সব কটি সূত্র পূরণ করুন।
২) তারপর অ্যাডসেন্স এ গিয়ে Get Started এ ক্লিক করুন।

৩) এখন আপনার তথ্যগুলি সঠিকভাবে দিয়ে ফর্মটি পূরণ করলে একবারেই আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

৪) আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন।

৫) এবার আপনার ব্লগের জন্য একটি অ্যাড কোড বানিয়ে আপনার ব্লগে সেটি যোগ করে দিন।

৬) ব্লগ খুলে দেখুন, আপনি যেখানে অ্যাড বসিয়েছিলেন সেখানে ফাকা জায়গা দেখা যাচ্ছে, কোন অ্যাড শো করছে না। ভয়ের কিছু নেই।

৭) যদি আপনার সাইট গুগলের সব নীতি মেনে চলে, তাহলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই ফাকা স্থানে অ্যাড দেখানো শুরু করবে। এবং আপনাকে গিমেলে একটা মেই সেন্ড করা হবে গুগলের তরফ থেকে ।

৮) আপনার আয় যখন ১০ ডলারে পৌঁছোবে তখন গুগল আপনাকে একটি পিন দিয়ে মেল পাঠাবে, এর জন্য অবশ্যই আপনাকে তাদের কিছু তথ্য দিতে হবে কি দিতে হবে সেখানেই দেখতে পাবেন। যদি পিন না আসে চিন্তার কিছু নেই আপনি আবার পিন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সঠিক ঠিকানা দেবেন, যদি তাও পিন না আসে তাও ভয়ের কিছু নেই আপনি কোন একটা ID প্রুফ দিয়ে আপনার অ্যাড্রেস ভেরিফাই করে নিতে পারবেন, যেমন পাসপোর্ট, ভোটার ID কার্ড ইত্যাদি।

৯) সেই পিন কোড টি আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে দিয়ে দিলেই আপনার ফাইনাল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হয়ে যাবে।

১০। আপনার ইনকাম যখুন ১০০$ হবে তখুন আপনি অ্যাডসেন্স থেকে টাকা নিতে পারবেন, এর জন্য আপনাকে আগে থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট এর বিস্তারিত দিয়ে রাখতে হবে অ্যাডসেন্স সেটিং এ আপনি সব কিছু পেয়ে যাবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে যা যা করণীয় ?


আমি নিচে যে বিষয় বলেছি তা সব নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কোন ইংরেজি ব্লগ থেকে কপি বা অন্য কোন ব্লগারের অভিজ্ঞতা থেকে না, আমি যেভাবে অ্যাডসেন্স পেয়েছি

অ্যাডসেন্স আবেদন করার পূর্ব চেক করে নিন আমি নিচে যা যা বলেছি তা আপনার ব্লগে আছে কিনা বা আমার বলার সঙ্গে মিচ্ছে কিনা। যদি মিলে তাহলে আপনি নির্দ্বিধাই আবেদন করে দিতে পারেন।

১। ব্লগের বয়স কত হওয়া উচিৎঃ

এই বিষয় টা প্রথমে তুল ধরার একটি বিশেষ কারন হল আমি যত  অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেছি তার সব কটি ব্লগের বয়স ছিল ৫-৬ মাস+। তাই আমি এটা বলবনা যে আপনার ব্লগ বয়স ৫-৬ মাস হতে হবে এটা আমার অভিজ্ঞতা বললাম, তবে ব্লগের বয়স যদি একটু বেশি হয় তাহলে ভাল হয়, তবে ব্লগের মান, পোস্টের মান, যদি ভাল হয় তাহলে এর কম সময় হলেও সমস্যা নেই। তবে যদি প্রথম বারেই অ্যাডসেন্স পেতে চান তাহলে ব্লগে সময় দিয়ে কিছু ভাল পোস্ট করে, কিছু ভাল ভিজিটর হবার পর আবেদন করুন এতে অ্যাডসেন্স ৯৯% পাবার চান্স থাকে।

২। ব্লগে পোস্ট এর সংখ্যা কত থাকলে অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে ভাল ঃ

অনেকেই মনে করে অ্যাডসেন্স এর জন্য ৫০ পোস্ট থাকা চাই কিন্তু এটা আমি বিশ্বাস করিনা, আমি আগেই বলেছি এই পোস্টে সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আপনি যদি ভাল মানের ১০-১৫ পোস্ট করেন এবং আপনার ব্লগের বয়স যদি একটু পুরনো হয় তাহলে আপনি এই পরিমান পোস্ট দিয়ে অ্যাডসেন্স পেতে পারেন। উদাহারান স্বরূপ এই  ব্লগে পোস্ট ২০ টি আছে কিন্তু আমি অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেছিলাম ১৫ পোস্টে এবং Approved ও পেয়েছি । তবে আমি বলব আপনি ভাল মানের বেশ কিছু পোস্ট লিখুন তারপর আবেদন করুন এতে disapproved হবার চান্স অনেকটা কমে যাই।

৩। ব্লগে ভিজিটর কত থাকলে অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে ভাল ঃ

আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আমি শেষ যে অ্যাডসেন্স Approved পাই সেই ব্লগে পোস্ট মাত্র ১৫ টি আর পেজ ভিউ প্রতিদিন ছিল ১০ এরও কম লাইফটাইম ২০০০ মত। তবে অনেকেই বলে ব্লগে মিনিমাম ১০০০ ভিজিটর থাকলে তবেই অ্যাডসেন্স পাবেন, কিন্তু আমার সঙ্গে ২ বার এমন হয়নি কম ভিজিটর দিয়েই আমি পেয়ে গেছি, তবে আপনি চেস্ট করুন ভাল কিছু ভিজিটর আনতে তারপর অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন। কারন ভাল ভিজিটর না থাকলে অ্যাডসেন্স পেয়েও তো লাভ নেই কারন ইনকাম হবেনা তাই মোটামোটি ভিজিটর বাড়ানোর চেস্টা করুন তারপর আবেদন করুন।
৪। ব্লগকে অবশ্যই Webmastertools এ সাবমিট করুন ঃ

আপনি যদি গুগল থেকে ভিজিটর পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই webmastertools এ ব্লগ সাবমিট করতে হবে, আর যদি না করেন তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স পাবার আশাও অনেকটা কমে যাবে। তাই এই বিষয় টি ভাল ভাবে লক্ষ রাখেবেন আপনার ব্লগ webmastertools এ সাবমিট আছে কিনা।

৫। ব্লগ পোস্টে কত ওয়ার্ড এর পোস্ট থাকলে অ্যাডসেন্স পেতে সুবিদা ঃ

দেখুন এটা কোন কথাই না, ধরুন আপনি একটি পোস্ট লিখছেন যেটাতে ওয়ার্ড এর প্রয়োজন ৩০০ কিন্তু আপনি ফালতু ১০০০-২০০০ লিখতে যাবেন কেন! তবে হ্যা বেশি ওয়ার্ড এর পোস্ট থাকলে ভাল গুগল ভাল চোখে দেখে থাকে, তবে আমার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই ওয়ার্ড এর সঙ্গে অ্যাডসেন্স এর সম্পর্ক খুজে পাচ্ছিনা। তবে আপনি চেষ্টা করবেন একটু ভাল মানের পোস্ট লিখতে যাতে ভিজিটর আপনার পোস্ট পড়ে আনান্দ পাই। তবে পোস্ট ওয়ার্ড এর সাথে অ্যাডসেন্স এর কোন সম্পর্কে আছে বলে আমার মনে হয়না, শুধু কিছু ভাল মানের পোস্ট লিখুন এখুন ভাল মানের পোস্ট বলতে কি বুঝাতে চাইছি বুঝেতেই পারছেন 😉।

৬। ব্লগ ডিজাইন কতটা গুরুত্ব পূর্ণ অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে ঃ

আমি অনেক ব্লগারকে দেখেছি অ্যাডসেন্স নিয়ে পোস্ট লিখেছে এবং সেখানে এই ডিজাইন এর বিষয় টিকে সিরিয়াস ভাবে তুলে ধরেছে, কিন্তু আমি এখুন পর্যন্ত এমন কিছু ব্লগে অ্যাডসেন্স দেখছি যাদের ব্লগ ডিজাইন সব থেকে নিম্ন মানের। তবে চেস্টা করুন একটু ডিজাইন টা সাদা মাটা রাখতে। ফ্রী থিম ব্যবহার করুন আর পেইড কোন সমস্যা নেই, আমার মনে হয় এই ডিজাইন এর বিষয় টা নিজের কাছে অহেতুক ব্লগ ভারি করবেন না ইউজার ফ্রেন্ডলি করবেন তাহলেই চিন্তা নেই

৭। ব্লগার না ওয়ার্ডপ্রেস অ্যাডসেন্স এর জন্য কোনটা ভাল হবে ঃ

আমি এখুন পর্যন্ত ৩ টি অ্যাডসেন্স Approved পেয়েছি যার মধ্যে ২ টি ব্লগার প্লাটফর্ম দিয়ে বানান ব্লগ আর একটি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে 😊। তবে ব্লগার যেহেতু গুগলের আর অ্যাডসেন্সও গুগলের তাই একটু হাল্কা সুবিধা পেতে পারেন তবে আমি সেরকম পার্থক্য লক্ষ করিনি, সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা বললাম। অ্যাডসেন্স পেতে প্লাটফর্ম নয় কন্টেন্ট টাই মূল বিষয় তাই সেই দিকটাই বেশি জোর দিন।
৮। কি ধরনের ডোমেইন ব্যবহার করা উচিৎ ঃ

আপনি আপনার ব্লগে যেকোনো টপ লেবেল ডোমেইন ব্যবহার করতে পারেন যেমন .com, .in. .net, .org ইত্যাদি তবে ভুলেও ফ্রী ডোমেইন দিয়ে আবেদন করেন না যদিও আমি পরীক্ষা করিনি তবে ফ্রী ডোমেইন দিয়ে না পাবার চান্স ৯৯%, ফ্রী ডোমেইন বলতে আমি .TK, .ML এই সব ফালতু ডোমেইন গুলর কথা বলতে চাইছি। যখুন ব্লগে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করবেন অর্থ উপার্জন করবেন তখুন একটু নিজের পকেট থেকে অর্থ ব্যয় করুন না মশাই 😉। আর হ্যা সাবডোমেইন দিয়েও আমি চেস্টা করিনি, তবে শেষ কথা একটা টপ লেবেল ডোমেইন দিয়েই অ্যাডসেন্স আবেদন করুন।

৯। ব্লগে ক্র্যাক , প্যাচ, কপি পোস্ট, গান, মুভি ইত্যাদি নিয়ে পোস্ট করা যাবে কি ঃ

দেখুন অ্যাডসেন্স বলে না আপনি যদি ব্লগার প্লাটফর্ম ব্যবহার করেন এবং ক্র্যাক, প্যাচ, কপি পোস্ট করেন তবুও ব্লগ ডিলিট হয়ে যাই আর এটা তো অ্যাডসেন্স এর বিষয়। আমি নিজেও এসো বন্ধু ব্লগে গান, মুভি, ক্র্যাক সফটওয়্যার অনেক শেয়ার করেছিলাম তবে সব পোস্ট ডিলিট করি তারপর আবেদন করি আপনিও সেটাই করুন তা নাহলে মুশকিল, এখুন আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, বাংলার কিছু বড় বড় ব্লগ গুল তো এই সব কটেন্ট দিয়েও অ্যাডসেন্স পেয়েছে তাহলে বলি গুগল যদি ধরতে পারে তাহলে বিনা নোটিশে ব্যান্ড হবে সেই সব অ্যাকাউন্ট। তাই এই বিষয় টি সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন।

১০। অ্যাডসেন্স আবেদনের আগে ব্লগে যে সকল পেজ থাকা আবশ্যক ঃ

এই বিষয়টি খুবি গুরুত্ব পূর্ণ, আপনি যখুন অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে যাবেন তখুন নিচের যে যে পেজ গুল আমি বলেছি সেগুল অবশ্যই আপনার মেনু সে অ্যাড করে নিবেন, তা না হলে সমস্যাই পড়বেন।

প্রাইভেসি পলিসি পেজ
ব্লগ বা লেখক সম্পর্কে একটি পেজ বানাবেন
যোগাযোগ পেজ বানাবেন
Disclaimer পেজ বানাতে পারেন না হলেও সমস্যা নেই।
সাইট ম্যাপ পেজ বানাবেন।

উপরের পেজ গুল অবশ্যই নিজের ব্লগে মেনু কিংবা সাইড বারে অ্যাড করে নিবেন, তা নাহলে Approved হবে আপনার অ্যাকাউন্ট।

১১। Blogspot.com এই ডোমেইন দিয়ে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে ঃ

এই বিষয় টি আমি সত্যি ক্লিয়ারনা তবে এখুন মনে হয় অ্যাডসেন্স দেইনা, তবে আগে দিত, আপনি সব সময় টপ লেবেল ডোমেইন দিয়ে চেস্টা করুন অবশ্যই অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন।

শেষ কিছু কথা ঃ
পরে আমি সব নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি যেগুল আমি অনুসরণ করেছি এবং অ্যাডসেন্স পেয়েছি, তাই আমি উপরে যা বলেছি আপনি অনুসরণ করুন সেই ভাবে নিজের ব্লগটা তৈরি করুন দেখুন আপনার ব্লগ অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবে। বাকি গুগল অ্যাডসেন্সের যে Terms and Conditions আছে সেটা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট করবো। পোস্টটি বেশি বড় করলাম না, জানি যারা নতুন তাদের মধ্যে আরও অনেক একাধিক প্রশ্ন আছে যে গুলো আসতে আসতে পোস্ট করবো আপাতও এই টিপস গুলো ফলো করুন দেখুন কাজে হয়ে যাবে।

গুগল অ্যাডসেন্স এ CPC, Page RPM ও Page CTR কি?


এ্যাডসেন্স পাবলিশারদের জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয়। অনেকে এ সহজ বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে না জানার কারনে তাদের এ্যাডসেন্স একাউন্ট হতে আয় বৃদ্ধি করতে পারেন না। গুগল মূলত CPC ও RPM হিসেব করে এ্যাডসেন্স পাবলিশারদের বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা প্রদান করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে যার ওয়েবসাইটের CPC ও RPM Rate যত বেশী হবে তার ওয়েবসাইটের ইনকাম তত বেশী হবে। এই সহজ তিনটি বিষয় নিয়ে যাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, তারা আজকের এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

গুগল এ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধি করার প্রধান এবং একমাত্র উপায় হচ্ছে ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা। যার ব্লগে যত বেশী ভিজিটর থাকবে এ্যাডসেন্স হতে সে তত বেশী আয় করতে সক্ষম হবে। পোষ্টের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে এটি বিষয় বলে রাখছি যে, আমাদের আজকের পোষ্টের মূল বিষয় CPC ও RPM বৃদ্ধি করা নয়, শুধুমাত্র গুগল AdSense CPC, Page RPM ও Page CTR সম্পর্কে বেসিক ধারনা নেওয়া।
।CPC, Page RPM ও Page CTR কি?
আমরা আজ এই তিনটি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলাদা আলাদা অংশে ভাগ করে আলোচনা করব। তবে তার পূর্বে এগুলির সাথে সম্পৃক্ত আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলি না জানলে বা পরিষ্কারভাবে ধারনা না নিলে আপনার কনসেপ্ট ক্লিয়ার হবে না।
  • Click কিঃ গুগল এ্যাডসেন্সের ক্ষেত্রে Click বলতে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন ক্লিককে বুঝানো হয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের কতগুলো পেজে ক্লিক হয়েছে সেটি নির্দেশ করে না।
  • Impression কিঃ এটি দ্বারা আপনার ব্লগের প্রত্যেকটি Page View কে বুঝানো হয়ে থাকে। অধীকন্তু আপনার ব্লগের Page View, Ad View সহ কোন Individual Ad View কেও নির্দেশ করে। সাধারণত Impression তিন ধরনের হয়ে থাকে, যথা-Page views, Page impression ও Ad impression.
  • Page views কিঃ Page views দ্বারা বুঝানো হয়ে থাকে আপনার কাঙ্খিত ব্লগের পেজ এর মাধ্যমে ভিজিটর কতটি বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছে। ধরুন আপনার ব্লগের একটি পেজে মোট ৩ টি বিজ্ঞাপন রয়েছে, কিন্তু ভিজিটর ঐ পেজের সবগুলি বিজ্ঞাপন দেখেনি অর্থাৎ একটি বিজ্ঞাপন নিচের দিকে থাকার কারনে সেটি ব্রাউজারের উপরে উঠেনি। সে ক্ষেত্রে এখানে আপনার Page views হিসেবে ২ গণনা করা হবে।
  • Page impression কিঃ Page views এবং Page impression একই জিনিস। দুটি দ্বারা প্রায় একই ধরনের বিষয় বুঝানো হয়ে থাকে।
  • Ad impression কিঃ এটি দ্বারা আপনার ব্লগের প্রত্যেকটি পেজের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের হিসাব গণনা করা হয়। ধরুন আপনার ব্লগের একটি পোষ্টে ৩ টি বিজ্ঞাপন রয়েছে এবং পোষ্টটি সর্বমোট ৫ বার ভিজিট করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে Ad impression হিসাব করা হবে ৩x৫=১৫ অর্থাৎ কাঙ্খিত পোষ্টের ১৫ Ad impression গণনা করা হবে।

CTR (Click Through Rate) কি?
একটি ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনের মোট ভিউ এর মধ্যে কতবার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা হয়েছে সেটি বুঝাতে CTR ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে- ধরুন আপনার ব্লগের বিভিন্ন পেজ ১০০ বার ভিউ হয়েছে এবং Add এ মাত্র ১০ জন ভিজিটর ক্লিক করেছে। সে ক্ষেত্রে আপনার CTR হবে ১০% । যদি আপনার ব্লগের পেজ ভিউ হয় ১০০ এবং ৫০ বার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা হয়ে থাকে, তবে আপনার CTR দাড়াবে ৫০%। এই CTR দ্বারা শুধুমাত্র আপনার বিজ্ঞাপনের মোট ভিজিটরের ভিউয়ের ক্লিক সংখ্যা হিসাব করা হয়।
CPC (Cost Per Click) কি?
Cost Per Click সম্পর্কে বেশী কিছু বলার প্রয়োজন নাই। কারণ এটি দ্বারা কি বুঝানো হয় তা আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন। আপনার বিজ্ঞাপনের প্রতি Click এর কারনে এ্যাডসেন্স আপনাকে কত ডলার পরিশোধ করবে সেটি বুঝানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যার ক্লিট রেট যত বেশী হবে তার আয়ও তত বেশী হবে। ধরুন-আপনার CPC রেট 0.03$, সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতি এড Click এ পাবেন 0.03$ ডলার।
RPM (Revenue Per Mile) কি?
এটি দ্বারা একটি ব্লগের বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক ব্যতীত শুধুমাত্র প্রতি ১০০০ পেজ ভিউ হিসেবে কত ডলার দেওয়া হবে সেটি গণনা করা হয়। ধরুন- আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনের RPM 1.25$, এ ক্ষেত্রে গুগল আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনের প্রতি ১০০০ বার ভিউ এর জন্য 1.25$ ডলার পরিশোধ করবে।
CTR, CPC ও RPM এর সর্বমোট হিসাবঃ
ইতোপূর্বে আপনি উপরের তিনটি বিষয় থেকে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন যে, Google AdSense কিভাবে হিসেব করে বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা পরিশোধ করে এবং কিভাবে আপনার এ্যাডসেন্সের আয়ের পরিমান হ্রাস ও বৃদ্ধি পায়। এখন আমি উদাহরনের মাধ্যমে তিনটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।

উদাহরণ- মনেকরুন আপনার ব্লগে প্রতি মাসে এক লক্ষ পেজ ভিউ হয় এবং আপনার ব্লগের CTR ৩%। অর্থাৎ প্রতি একশত পেজ ভিউ এর মধ্যে মাত্র তিন জন আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। এ ক্ষেত্রে আপনার নীট CTR হবে (মোট ভিউ x CTR ÷ ১০০) অর্থাৎ (১০০০০০x৩÷১০০) = ৩০০০ বার। আপনার ব্লগের এক লক্ষ পেজ ভিউ এর মধ্যে ৩০০০ জন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেছে। সেই হিসাবে আপনার ব্লগের CPC রেট 0.03$ হয়ে থাকলে মোট ক্লিক রেট হবে (৩০০০x০.৩) = ৯০০ ডলার। অর্থাৎ এক লক্ষ ভিউয়ার এর মধ্যে ৩০০০ বিজ্ঞাপন ক্লিক এর কারনে গুগল আপনাকে ৯০০ ডলার পরিশোধ করবে।

অন্যদিকে আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনের RPM 1.25$ হলে আপনি মোট ভিউ হিসাব করে (মোট ভিউ ÷ ১০০০ x ১.২৫) অর্থাৎ (১০০০০০ ÷ ১০০০ x ১.২৫) = ১২৫ ডলার। CTR ব্যতীত শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের ভিউয়ের জন্য গুগল আপনাকে আরো ১২৫ ডলার পরিশোধ করবে। সেই হিসেবে দেখা যায় কেউ যদি উপরোক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্লগের সমন্বয়ে এক লক্ষ ভিউয়ার পায়, তাহলে সে গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৯০০ + ১২৫ = ১০২৫ ডলার আয় করতে সক্ষম হবে।
সর্বশেষঃ উপরে প্রদত্ত হিসাব এবং AdSense CPC, Page RPM ও Page CTR থেকে আপনি বুঝতে পারছেন যে, আপনি কেন গুগল এ্যাডসেন্স থেকে কম উপার্জন করছেন বা অন্যকেউ কম ভিজিটর পেয়েও আপনার চাইতে বেশী আয় করছে। আপনার ব্লগের CPC, Page RPM ও Page CTR যত বেশী হবে এ্যাডসেন্স থেকে তত বেশী আয় করতে পারবেন। সাধারণত ব্লগের কনটেন্টের মান, র‌্যাংকিং এবং বিজ্ঞাপনের লোকেশনের উপর ভিত্তি করে CPC ও RPM কম বেশী হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনি ভালমানের কনটেন্টের সমন্বয়ে উন্নত দেশের বিজ্ঞাপনকে টার্গেট করতে পারলে এ্যাডসেন্স CPC ও RPM বৃদ্ধি করে ব্লগের আয় বাড়াতে পারবেন।